🌹চাকরির প্রস্তুতি::ভারতের অর্থনীতি::ভূমিকা-অর্থনীতি:: বিস্তারিত আলোচনা।🌹

📘 ভারতের অর্থনীতি :: অধ্যায়–ভূমিকা:
[FOR WBCS, UPPER PRIMARY TET, PSC, SSC, RRB, GROUP-C, GROUP-D ETC]

অর্থনীতির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ (Etymological Meaning of Economics):

অর্থনীতি (Economics) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ “Oikonomia” থেকে—

  • Oikos = “গৃহ” বা “পরিবার”

  • Nemein = “পরিচালনা” বা “ব্যবস্থাপনা”

সুতরাং Oikonomia শব্দের আদি অর্থ হলো “গৃহপরিচালনার বিজ্ঞান” বা “পরিবার বা গৃহসম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা”

সময়ক্রমে অর্থনীতির ধারণা বাড়তে থাকায়, আধুনিক অর্থে অর্থনীতি বোঝায়—
মানুষের সীমাহীন চাহিদা পূরণের জন্য সীমিত সম্পদের উৎপাদন, বণ্টন ও ব্যবহার।


অর্থনীতির সংজ্ঞা (Definition of Economics):

বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ অর্থনীতি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সংজ্ঞায়িত করেছেন:

  1. অ্যাডাম স্মিথ (Adam Smith, 1723–1790)

    • অর্থনীতি হলো ধন-সম্পদ সঞ্চয় এবং জাতির সমৃদ্ধি অর্জনের বিদ্যা।

    • মূল দিক: সম্পদ ও ধন।

  2. আলফ্রেড মার্শাল (Alfred Marshall, 1842–1924):

    • অর্থনীতি হলো মানুষের কল্যাণ বৃদ্ধির বিজ্ঞান।

    • মূল দিক: মানব কল্যাণ।

  3. লর্ড রবিন্স (Lionel Robbins, 1898–1984)

    • অর্থনীতি হলো সীমিত সম্পদের বিকল্প ব্যবহার দ্বারা সীমাহীন চাহিদা পূরণের বিজ্ঞান।

    • মূল দিক: সম্পদ সীমাবদ্ধতা ও চাহিদার সমন্বয়।

  4. পল স্যামুয়েলসন (Paul Samuelson, 1915–2009)

    • অর্থনীতি হলো সম্পদ বণ্টনের পাশাপাশি মানুষের উন্নয়নের বিজ্ঞান।

    • মূল দিক: উন্নয়ন ও সামগ্রিক কল্যাণ।


সংক্ষেপে বলা যায়:

  • ব্যুৎপত্তিগত অর্থ: গৃহ বা পরিবার পরিচালনার বিজ্ঞান।

  • আধুনিক সংজ্ঞা: সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মানুষের চাহিদা পূরণের বিজ্ঞান।


অর্থনীতির শাখা (Branches of Economics)

অর্থনীতিকে প্রধানত দুইটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে:


১. ক্ষুদ্র অর্থনীতি (Microeconomics)

সংজ্ঞা:
ক্ষুদ্র অর্থনীতি হলো সেই শাখা যা একক ব্যক্তি, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করে।

মূল বিষয়:

  • পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণ

  • চাহিদা ও যোগান বিশ্লেষণ

  • ভোক্তা ও উৎপাদক আচরণ

  • উৎপাদন ও ব্যয় সমন্বয়

উদাহরণ:

  • একটি পরিবারের মাসিক বাজেট পরিকল্পনা

  • একটি দোকানের পণ্যের দাম নির্ধারণ

  • একটি ফার্মের উৎপাদন ব্যয় ও মুনাফা হিসাব

লক্ষ্য:
একক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে বোঝা এবং বাজারে কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা।


২. বৃহৎ অর্থনীতি (Macroeconomics)

সংজ্ঞা:
বৃহৎ অর্থনীতি হলো সেই শাখা যা সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করে।

মূল বিষয়:

  • জাতীয় আয় (National Income)

  • মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)

  • বেকারত্ব (Unemployment)

  • বাজেট ও অর্থনৈতিক নীতি

  • অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উন্নয়ন

উদাহরণ:

  • ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি

  • দেশের বেকারত্বের হার

  • সরকারী বাজেট ও রাজস্ব নীতি

লক্ষ্য:
সমগ্র অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও নীতি প্রয়োগ বিশ্লেষণ করা।


ক্ষুদ্র বনাম বৃহৎ অর্থনীতির তুলনা

বৈশিষ্ট্য ক্ষুদ্র অর্থনীতি বৃহৎ অর্থনীতি
বিষয় ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান। সমগ্র দেশ বা সমাজ।
লক্ষ্য বাজার ও সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা বোঝা। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
উদাহরণ দোকানের দাম, পরিবারের বাজেট। জিডিপি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব।
মূল বিশ্লেষণ চাহিদা ও যোগান, মূল্য নির্ধারণ। জাতীয় আয়, বাজেট, নীতি প্রয়োগ।
ফোকাস ছোট স্তরের অর্থনৈতিক সমস্যা। বৃহৎ স্তরের অর্থনৈতিক সমস্যা।

অর্থনৈতিক ব্যবস্থা (Economic System):


১.পুঁজিবাদী অর্থনীতি (Capitalist Economy)

সংজ্ঞা:

পুঁজিবাদী অর্থনীতি হলো সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণ (যেমন–ভূমি, শ্রম, কারখানা, যন্ত্রপাতি) ব্যক্তিগত মালিকানাধীন থাকে এবং লাভ অর্জন প্রধান লক্ষ্য।

মূল বৈশিষ্ট্য:

১. ব্যক্তিগত মালিকানা: উৎপাদনের উপকরণ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মালিকানাধীন।
২. লাভের উদ্দেশ্য: উৎপাদনের মূল লক্ষ্য ব্যক্তিগত মুনাফা।
৩. বাজার নির্ধারণ: চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণ।
৪. স্বাধীন প্রতিযোগিতা: বাজারে প্রতিযোগিতা থাকায় দক্ষতা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি পায়।
৫. সীমিত রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ: সরকার মূলত আইন, শৃঙ্খলা ও অবকাঠামোর মাধ্যমে সাহায্য করে।

সুবিধা:

  • উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বৃদ্ধি পায়।

  • ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও প্রতিযোগিতা উদ্দীপিত হয়।

  • উৎপাদন দক্ষতা বাড়ে।

অসুবিধা:

  • সামাজিক বৈষম্য ও দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়।

  • শ্রমিক শোষণ হতে পারে।

  • অপরিকল্পিত বাজারে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়।

উদাহরণ:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান।


পুঁজিবাদী অর্থনীতির জনক (Father of Capitalism)

নাম অবদান পরিচিতি
অ্যাডাম স্মিথ (Adam Smith, 1723–1790) ব্যক্তিগত স্বার্থ ও বাজারের স্বাভাবিক নিয়মের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের তত্ত্ব প্রবর্তন। পুঁজিবাদী অর্থনীতির জনক (Father of Capitalism)

অ্যাডাম স্মিথের মূল তত্ত্ব:

  • Invisible Hand Theory: ব্যক্তিগত স্বার্থের মাধ্যমে সমগ্র সমাজের কল্যাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।

  • সরকার হস্তক্ষেপ যত কম, বাজারের কার্যকারিতা তত বেশি।


২.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি (Socialist Economy)

সংজ্ঞা:

সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি হলো সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণ (যেমন–ভূমি, কারখানা, ব্যাংক, যন্ত্রপাতি) রাষ্ট্র বা সমষ্টির মালিকানাধীন থাকে এবং সমষ্টিগত কল্যাণ ও সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠা প্রধান লক্ষ্য।

মূল বৈশিষ্ট্য:

১. রাষ্ট্র বা সমষ্টির মালিকানা: উৎপাদনের উপকরণ ব্যক্তিগত মালিকানায় নয়।
২. সমষ্টিগত লক্ষ্য: ব্যক্তিগত লাভ নয়, সমাজের সকলের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
৩. মূল্য ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ: রাষ্ট্র পণ্যের দাম ও উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণ করে।
৪. সমতা ও ন্যায়: সামাজিক বৈষম্য কমানো এবং সমতা বৃদ্ধি করা।
৫. স্বল্প প্রতিযোগিতা: বাজারে ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা সীমিত, রাষ্ট্র মূল নিয়ন্ত্রক।

সুবিধা:

  • দারিদ্র্য হ্রাস ও সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠা।

  • মৌলিক সেবার সহজলভ্যতা (শিক্ষা, স্বাস্থ্য)।

  • দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব।

অসুবিধা:

  • উদ্ভাবন ও উদ্যোগের অভাব।

  • উৎপাদন দক্ষতা কমতে পারে।

  • সরকারি নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত হলে বাজার অচল হয়ে যেতে পারে।

উদাহরণ:

প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন, কিউবা, চীনের প্রাথমিক সমাজতান্ত্রিক ধাপ।


সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির জনক (Father of Socialism / Socialistic Economy)

নাম অবদান পরিচিতি
কার্ল মার্কস (Karl Marx, 1818–1883) শ্রমিক শ্রেণীর ক্ষমতায়ন ও পুঁজিবাদের শোষণ মোকাবেলার তত্ত্ব। সমাজে সম্পদের সমতা ও সমষ্টিগত মালিকানার ধারণা প্রবর্তন। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির জনক (Father of Socialist Economy)

কার্ল মার্কসের মূল তত্ত্ব:

  • পুঁজিবাদী অর্থনীতি শ্রমিকদের শোষণ করে।

  • সমষ্টিগত মালিকানা ও উৎপাদন ব্যবস্থা স্থাপন করলে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

  • উল্লিখিত তত্ত্ব সমাজতান্ত্রিক নীতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।


৩.মিশ্র অর্থনীতি (Mixed Economy)

সংজ্ঞা:

মিশ্র অর্থনীতি হলো সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক নীতি উভয়ই একসাথে কার্যকর। এখানে কিছু খাত ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকে, আবার গুরুত্বপূর্ণ খাত (যেমন–বিদ্যুৎ, রেল, প্রতিরক্ষা, তেল) রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মূল বৈশিষ্ট্য:

১. দ্বৈত মালিকানা: উৎপাদনের উপকরণ আংশিক ব্যক্তিগত এবং আংশিক রাষ্ট্রীয়।
২. লাভ ও কল্যাণের সমন্বয়: ব্যক্তিগত মুনাফা ও সামাজিক কল্যাণ দুটোই লক্ষ্য।
৩. রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ: গুরুত্বপূর্ণ খাত ও নীতি-নিয়ন্ত্রণে সরকার হস্তক্ষেপ।
৪. বাজার ও পরিকল্পনার সংমিশ্রণ: ব্যক্তিগত উদ্যোগের স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার সমন্বয়।
৫. সমতা ও উন্নয়ন: ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভারসাম্য।

সুবিধা:

  • ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও উদ্ভাবন চালু থাকে।

  • সামাজিক ন্যায়বিচার ও কল্যাণ বজায় থাকে।

  • অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব।

অসুবিধা:

  • দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ ও জটিল প্রশাসনিক কাঠামো।

  • দুর্নীতি ও ব্যবস্থাপনা সমস্যা হতে পারে।

  • কখনও কখনও বাজার ও পরিকল্পনার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে।

উদাহরণ:

ভারত, ফ্রান্স, সুইডেন।


মিশ্র অর্থনীতির জনক:

নাম অবদান পরিচিতি
জন কীন্স (John Maynard Keynes, 1883–1946) ব্যক্তিগত খাতের সাথে সরকারী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৃদ্ধির তত্ত্ব। মিশ্র অর্থনীতির জনক (Father of Mixed Economy)

কীন্সের মূল তত্ত্ব:

  • বাজারে সব সময় সমতা আসে না।

  • অর্থনৈতিক মন্দা ও বেকারত্ব কমানোর জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

  • এটি মিশ্র অর্থনীতির নীতির ভিত্তি।


পুঁজিবাদী, সমাজতান্ত্রিক ও মিশ্র অর্থনীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ

বৈশিষ্ট্য পুঁজিবাদী অর্থনীতি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি মিশ্র অর্থনীতি
উৎপাদনের মালিকানা ব্যক্তিগত রাষ্ট্র/সমষ্টি ব্যক্তি + রাষ্ট্র
লক্ষ্য ব্যক্তিগত লাভ সমষ্টিগত কল্যাণ ব্যক্তিগত উন্নয়ন + সামাজিক ন্যায়
মূল্য নির্ধারণ বাজার চাহিদা ও যোগান রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ বাজার + পরিকল্পনা সংমিশ্রণ
প্রতিযোগিতা স্বাধীন প্রতিযোগিতা সীমিত/নিয়ন্ত্রিত আংশিক প্রতিযোগিতা
রাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত প্রধান নিয়ন্ত্রক গুরুত্বপূর্ণ খাতে হস্তক্ষেপ
সুবিধা উদ্ভাবন, দক্ষতা বৃদ্ধি সমতা, কল্যাণ ভারসাম্য, স্থিতিশীলতা, উদ্ভাবন
অসুবিধা বৈষম্য, শোষণ উদ্ভাবনের অভাব, দক্ষতা কম জটিল প্রশাসন, দ্বন্দ্ব সম্ভাবনা
উদাহরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন, কিউবা ভারত, ফ্রান্স, সুইডেন
জনক অ্যাডাম স্মিথ কার্ল মার্কস জন কীন্স


অর্থনীতির জনক (Fathers of Economics)

অর্থনীতির শাখা/বিষয় খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব উপাধি
প্রাচীন অর্থনীতি অ্যাডাম স্মিথ (Adam Smith) আধুনিক অর্থনীতির জনক (Father of Modern Economics)
রাজনৈতিক অর্থনীতি অ্যাডাম স্মিথ Political Economy-র জনক
ক্ষুদ্র অর্থনীতি আলফ্রেড মার্শাল (Alfred Marshall) ক্ষুদ্র অর্থনীতির জনক
বৃহৎ অর্থনীতি জন মেনার্ড কেইন্স (J. M. Keynes) বৃহৎ অর্থনীতির জনক
আধুনিক অর্থনীতি পল স্যামুয়েলসন (Paul Samuelson) আধুনিক অর্থনীতির জনক
ভারতীয় অর্থনীতি দাদাভাই নওরোজি (Dadabhai Naoroji) ভারতীয় অর্থনীতির জনক (Drain Theory প্রবর্তক)
পরিসংখ্যানভিত্তিক অর্থনীতি ফ্রান্সিস গ্যাল্টন, কার্ল পিয়ারসন পরিসংখ্যান অর্থনীতির জনক
সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কার্ল মার্কস (Karl Marx) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির জনক

ভারতের অর্থনীতি

ভারত স্বাধীনতার পর পরিকল্পিত অর্থনীতি গ্রহণ করে, সমাজতান্ত্রিক আদর্শে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হয়।
১৯৯১ সালের উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ন (LPG Policy) এর মাধ্যমে ভারত মিশ্র অর্থনীতির পথে এগোয়।
আজকের ভারতীয় অর্থনীতি হলো—উন্নয়নশীল, পরিকল্পিত ও মিশ্র অর্থনীতি


উপসংহার
অর্থনীতি মানবজীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। এটি কেবল ধন-সম্পদ নয়, বরং মানুষের চাহিদা পূরণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণের বিদ্যা। ভারতের অর্থনীতি মূলত একটি মিশ্র অর্থনীতি, যার ভিত্তি হলো—রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের সমন্বয়।


<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>>

👉For pdf whatsapp-8250978714

 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.