🌹চাকরির প্রস্তুতি::ভারতের ভূগোল::ভারতের আকার ও অবস্থান:: বিস্তারিত আলোচনা।🌹


 

✍️অধ্যায়: ভারতের আকার ও অবস্থান:

[FOR WBCS, UPPER PRIMARY TET, PSC, SSC, RRB, GROUP-C, GROUP-D ETC]

১. অবস্থান (Location):

  • উত্তর-দক্ষিণ গোলার্ধ: ভারত উত্তর-পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত। এটি এশিয়ার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত।

  • অক্ষাংশগত বিস্তৃতি (Latitudinal Extent): ভারতের মূল ভূখণ্ড ৮°৪’ উত্তর থেকে ৩৭°৬’ উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত। দেশের দক্ষিণতম বিন্দু হল ইন্দিরা পয়েন্ট (পিগম্যালিয়ন পয়েন্ট), ৬°৪৫' উত্তর অক্ষাংশে।

  • দ্রাঘিমাংশগত বিস্তৃতি (Longitudinal Extent): ৬৮°৭’ পূর্ব থেকে ৯৭°২৫’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে বিস্তৃত।

  • উত্তর-দক্ষিণ বিস্তৃতি (North-South Extent): কাশ্মীরের ইন্দিরা কোল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রায় ৩,২১৪ কিমি।

  • পূর্ব-পশ্চিম বিস্তৃতি (East-West Extent): কচ্ছের রণ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত প্রায় ২,৯৩৩ কিমি।

  • সময় পার্থক্য (Time Lag): গুজরাট থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টার পার্থক্য রয়েছে।


২. অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ (Latitude & Longitude):

অক্ষাংশ (Latitude)

  • অক্ষাংশ হল কাল্পনিক রেখা, যা পৃথিবীর উপর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আঁকা হয়।

  • পৃথিবীকে অক্ষাংশের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করা হয়

  • গুরুত্বপূর্ণ অক্ষাংশসমূহ:

    • উত্তর মেরু: ৯০° উত্তর

    • আর্কটিক বৃত্ত: ৬৬.৫° উত্তর

    • কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer): ২৩.৫° উত্তর

    • বিষুবরেখা (Equator): ০°

    • মকরক্রান্তি রেখা (Tropic of Capricorn): ২৩.৫° দক্ষিণ

    • অ্যান্টার্কটিক বৃত্ত (Antarctic Circle): ৬৬.৫° দক্ষিণ

    • দক্ষিণ মেরু: ৯০° দক্ষিণ

দ্রাঘিমাংশ (Longitude)

  • দ্রাঘিমাংশ হল কাল্পনিক রেখা, যা পৃথিবীর উপর উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে আঁকা হয়।

  • ০° দ্রাঘিমাংশ হলো প্রাইম মেরিডিয়ান, যা গ্রিনিচ (ইংল্যান্ড) দিয়ে যায়।

  • ভারতের মান সময় (IST) নির্ধারিত হয় ৮২°৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী, যা মির্জাপুর, উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে গেছে।


৩. কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer)

  • ভারতকে প্রায় দুটি সমান অংশে ভাগ করেছে।

  • এটি ৮টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে: গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মিজোরাম।

  • রেখার উপরের অংশ উপক্রান্তীয় (Subtropical) এবং নিচের অংশ ক্রান্তীয় (Tropical) অঞ্চলে classified।


৪. ভারতীয় প্রমান দ্রাঘিমা (Standard Meridian of India)

  • ৮২°৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমা ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা।

  • এটি ৫টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে গেছে: উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ।


৫. আকার ও আয়তন (Size & Area)

  • মোট আয়তন: ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গ কিমি (~২.৪% পৃথিবীর মোট ভৌগোলিক অংশ)

  • বিশ্বে অবস্থান: আয়তনের দিক থেকে সপ্তম বৃহত্তম দেশ

  • জনসংখ্যা: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা (চীনের পর)

  • জনসংখ্যার ঘনত্ব: ৪৬৪ জন প্রতি বর্গ কিমি


৬. সীমানা ও প্রতিবেশী দেশ (Borders & Neighbours)

স্থলসীমানা (Land Boundary)

  • মোট দৈর্ঘ্য: প্রায় ১৫,২০০ কিমি

  • সাতটি প্রতিবেশী দেশ: বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান, আফগানিস্তান

সমুদ্রসীমানা (Coastline)

  • মোট: ৭,৫১৬.৬ কিমি

  • মূল ভূখণ্ড: ৬,১০০ কিমি

  • দ্বীপপুঞ্জ: ১,৪১৬.৬ কিমি

  • দক্ষিণের প্রতিবেশী: শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ

আন্তর্জাতিক সীমান্তের দৈর্ঘ্য (প্রায়)

  • বাংলাদেশ: ৪,০৯৬ কিমি

  • চীন: ৩,৪৮৮ কিমি

  • পাকিস্তান: ৩,২৩৩ কিমি

  • নেপাল: ১,৭৫১ কিমি

  • মিয়ানমার: ১,৬৪৩ কিমি

  • ভুটান: ৬৯৯ কিমি

  • আফগানিস্তান: ১০৬ কিমি


৭. ভারতের চরম বিন্দু (Extreme Points of India)

বিন্দু অবস্থান রাজ্য/প্রদেশ
উত্তরতম উত্তর লাদাখ জম্মু ও কাশ্মীর
দক্ষিণতম (মুল ভূখণ্ড) কন্যাকুমারী তামিলনাড়ু
দক্ষিণতম (দ্বীপ) ইন্দিরা পয়েন্ট আন্দামান ও নিকোবর
পশ্চিমতম গুজরাট গুজরাট
পূর্বতম অরুণাচল প্রদেশ অরুণাচল

৮. উপকূলীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Coastal States & UTs)

উপকূলীয় রাজ্য

গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ

উপকূলীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

দমন ও দিউ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ

দীর্ঘতম উপকূল

গুজরাট: ১,২১৪.৭ কিমি


৯. ভারতের নদী, হ্রদ ও উপকূলীয় বৈশিষ্ট্য

প্রধান নদী ও ডেল্টা

  • গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী

  • কৃষ্ণা নদীর ডেল্টা: “দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার”

হ্রদ

  • চিলিকা হ্রদ (Orissa), পুলিকট হ্রদ (Andhra Pradesh)

উপকূল সমভূমি

  • পূর্ব উপকূল: পশ্চিমবঙ্গ থেকে তামিলনাড়ু (Eastern Coastal Plains)

  • পশ্চিম উপকূল: কেরালা থেকে গুজরাট (Western Coastal Plains)

  • বিভাজন: কনকন, মালাবার, কানাড়া, করোমন্ডল, উত্কল, আন্ধ্র


১০. ভারতের শীর্ষ ও নিম্নতম স্থান

  • উচ্চতম স্থান: কাঞ্চনজঙ্ঘা, ৮,৫৮৬ মি (উত্তর সিকিম, ভারত-নেপাল সীমান্ত)

  • নিম্নতম স্থান: কুট্টীনাদ (আলাপ্পুঝা, কেরালা)


১১. ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

  • রাজ্য: ২৮টি

  • কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: ৮টি

  • সর্বাধিক সীমান্ত ভাগ করা রাজ্য: উত্তরপ্রদেশ (৮টি রাজ্যের সঙ্গে)

  • সীমান্তবিরোধপূর্ণ অঞ্চল: আকসাই চিন, কালাপানি, সিয়াচেন হিমবাহ, সালতোরো রেঞ্জ, সার ক্রিক


১২. ভারতের প্রধান চ্যানেল ও প্রণালী

  • পাঙ্ক প্রণালী (Palk Strait) – ভারত ও শ্রীলঙ্কা

  • ডানকান প্রণালী (Duncan Passage) – আন্দামান ও নিকোবর

  • অন্যান্য চ্যানেল: লিটল আন্দামান, মিনিকয়, মালদ্বীপের চ্যানেল


১৩.ভারতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সীমান্ত রেখা:


১. ভারত–পাকিস্তান সীমান্ত:

  • নাম: র‌্যাডক্লিফ রেখা (Radcliffe Line)

  • নির্ধারণ সাল: ১৭ আগস্ট, ১৯৪৭ (ভারত বিভাজনের সময়)

  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ৩,২৩৩ কিমি

  • অবস্থান: জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট দিয়ে গেছে।

  • বৈশিষ্ট্য:

    • লর্ড র‌্যাডক্লিফ-এর নামে নামকরণ।

    • ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সীমারেখা।

    • এর মধ্যে সার ক্রিক অঞ্চল (গুজরাট–সিন্ধু) নিয়ে এখনও ভারত–পাকিস্তান বিরোধ আছে।


২. ভারত–চীন সীমান্ত:

  • নাম: ম্যাকমোহন রেখা (McMahon Line)

  • নির্ধারণ সাল: ১৯১৪ (শিমলা চুক্তি – ব্রিটিশ ভারত, তিব্বত ও চীনের মধ্যে)

  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ৩,৪৮৮ কিমি

  • অবস্থান: জম্মু ও কাশ্মীর (লাদাখ), হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে গেছে।

  • বৈশিষ্ট্য:

    • স্যার হেনরি ম্যাকমোহন এর নামে নামকরণ।

    • চীন এই রেখাকে স্বীকার করে না।

    • ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের মূল কারণ এই সীমান্ত বিরোধ।

    • আকসাই চিন (লাদাখে) বর্তমানে চীনের দখলে।


৩. ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত:

  • নাম: র‌্যাডক্লিফ রেখা (Radcliffe Line)

  • নির্ধারণ সাল: ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজন

  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ৪,০৯৬ কিমি (ভারতের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্ত)

  • অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম দিয়ে গেছে।

  • বৈশিষ্ট্য:

    • ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে অনেক এনক্লেভ (ছিটমহল) ছিল, যা ২০১৫ সালের ভারত–বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তি (Land Boundary Agreement) অনুযায়ী সমাধান হয়েছে।

    • এই সীমান্তটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত।


৪. ভারত–নেপাল সীমান্ত:

  • নাম: নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই

  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৭৫১ কিমি

  • অবস্থান: সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড দিয়ে গেছে।

  • বৈশিষ্ট্য:

    • ভারত ও নেপালের সীমান্ত উন্মুক্ত (Open Border)।

    • নাগরিকরা পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া একে অপরের দেশে যাতায়াত করতে পারে।

    • কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা অঞ্চল নিয়ে ভারত–নেপাল সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।


৫. ভারত–ভুটান সীমান্ত:

  • নাম: নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই

  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ৬৯৯ কিমি

  • অবস্থান: সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে গেছে।

  • বৈশিষ্ট্য:

    • শান্তিপূর্ণ সীমান্ত।

    • ভারত ও ভুটান ঘনিষ্ঠ মিত্ররাষ্ট্র।

    • ডোকলাম মালভূমি (সিকিম–ভুটান–চীন ত্রিমিলন বিন্দু) নিয়ে ভারত–চীন–ভুটান সংঘাত হয়েছে (২০১৭)।


৬. ভারত–মিয়ানমার সীমান্ত:

  • নাম: নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই

  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ১,৬৪৩ কিমি

  • অবস্থান: অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড দিয়ে গেছে।

  • বৈশিষ্ট্য:

    • সীমান্ত বরাবর উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বসবাস।

    • ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান।

    • “Look East Policy”-এর কারণে ভারতের কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।


৭. ভারত–আফগানিস্তান সীমান্ত:

  • নাম: ডুরান্ড রেখা (Durand Line)

  • নির্ধারণ সাল: ১৮৯৩ (ব্রিটিশ ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে)

  • দৈর্ঘ্য: ভারতের সঙ্গে প্রায় ১০৬ কিমি (জম্মু ও কাশ্মীরের পাকিস্তান-অধিকৃত অংশে)

  • বৈশিষ্ট্য:

    • বর্তমানে এই সীমান্ত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) অংশে পড়ে।

    • তাই সরাসরি ভারতের নিয়ন্ত্রণে নেই।


সারসংক্ষেপ টেবিলে

প্রতিবেশী দেশ সীমান্ত রেখার নাম দৈর্ঘ্য (কিমি) বৈশিষ্ট্য
পাকিস্তান র‌্যাডক্লিফ রেখা ৩,২৩৩ ১৯৪৭ সালে বিভাজনে নির্ধারিত
চীন ম্যাকমোহন রেখা ৩,৪৮৮ চীন স্বীকার করে না, ১৯৬২ যুদ্ধের কারণ
বাংলাদেশ র‌্যাডক্লিফ রেখা ৪,০৯৬ দীর্ঘতম সীমান্ত, ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়
নেপাল নেই ১,৭৫১ উন্মুক্ত সীমান্ত, কালাপানি বিরোধ
ভুটান নেই ৬৯৯ শান্তিপূর্ণ, ডোকলাম সংকট
মিয়ানমার নেই ১,৬৪৩ Look East Policy-তে গুরুত্বপূর্ণ
আফগানিস্তান ডুরান্ড রেখা ১০৬ পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে অবস্থিত


১৪.ভারতের বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম, উচ্চতম, নিম্নতম, দীর্ঘতম,গভীরতম তথ্যভান্ডার:


১. রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

আয়তন অনুযায়ী

  • বৃহত্তম রাজ্য: রাজস্থান (৩,৪২,২৩৯ বর্গ কিমি)

  • ক্ষুদ্রতম রাজ্য: গোয়া (৩,৭০২ বর্গ কিমি)

জনসংখ্যা অনুযায়ী (Census 2011)

  • বৃহত্তম জনসংখ্যা: উত্তরপ্রদেশ (~১৯৯ মিলিয়ন)

  • ক্ষুদ্রতম জনসংখ্যা: সিকিম (~৬ লাখ)

জনঘনত্ব (Density)

  • সর্বাধিক জনঘনত্ব: বিহার (~১,১০৬ জন প্রতি বর্গ কিমি)

  • সর্বনিম্ন জনঘনত্ব: অরুণাচল প্রদেশ (~১৭ জন প্রতি বর্গ কিমি)

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

  • বৃহত্তম (আয়তনে): লাদাখ

  • ক্ষুদ্রতম (আয়তনে): লক্ষদ্বীপ

  • বৃহত্তম (জনসংখ্যায়): দিল্লি

  • ক্ষুদ্রতম (জনসংখ্যায়): লক্ষদ্বীপ


২. নদী (Rivers)

  • বৃহত্তম নদী ব্যবস্থা: গঙ্গা নদী ব্যবস্থা

  • দীর্ঘতম নদী (ভারতের ভিতরে): গঙ্গা (২,৫২৫ কিমি ভারতীয় অংশে, মোট দৈর্ঘ্য ~২,৭০৪ কিমি)

  • দীর্ঘতম দক্ষিণ ভারতের নদী: গোদাবরী (১,৪৬৫ কিমি) – “দক্ষিণ গঙ্গা”

  • ক্ষুদ্রতম উপকূলীয় নদী: আরব সাগরের দিকে কিছু ক্ষুদ্র নদী (যেমন, মানদোভী)

  • দীর্ঘতম উপকূলীয় নদী: মহানদী (~৮৫৮ কিমি, এর মধ্যে ৮৫১ কিমি ভারতে)

  • অত্যধিক জলবাহী নদী: ব্রহ্মপুত্র

  • ডেল্টা: গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র–মেঘনা (বিশ্বের বৃহত্তম ডেল্টা, সুন্দরবন)


৩. হ্রদ (Lakes)

  • বৃহত্তম হ্রদ: ভেম্বানাদ হ্রদ (কেরালা, ~২,৩০০ বর্গ কিমি)

  • ক্ষুদ্রতম প্রাকৃতিক হ্রদ: অনেক পাহাড়ি অঞ্চলে ক্ষুদ্র জলাশয় (পরীক্ষায় প্রাসঙ্গিক নয়)

  • বৃহত্তম লবণাক্ত হ্রদ: সাম্ভার হ্রদ (রাজস্থান)

  • বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ: উলার হ্রদ (কাশ্মীর)

  • বৃহত্তম লেগুন/Brackish Lake: চিলিকা হ্রদ (ওড়িশা) – এছাড়াও এশিয়ার বৃহত্তম লেগুন।

  • অক্সবাও হ্রদ: মানস সরোবর (অসম), লোকটাক (মণিপুর) বিখ্যাত।

    গভীরতম হ্রদ:বৈকাল হ্রদ। 


৪. পর্বত ও শৃঙ্গ (Mountains & Peaks)

পর্বতশ্রেণী

  • বৃহত্তম/দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণী: হিমালয়

  • প্রাচীনতম পর্বতশ্রেণী: আরাবল্লী পর্বত (রাজস্থান)

  • দক্ষিণ ভারতের প্রধান পর্বত: পশ্চিমঘাট, পূর্বঘাট, নীলগিরি

শৃঙ্গ (Peaks)

  • উচ্চতম শৃঙ্গ (ভারতে): কাঞ্চনজঙ্ঘা (৮,৫৮৬ মিটার, সিকিম)

  • উচ্চতম শৃঙ্গ (ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর): নুন কুন (৭,১৩৫ মি)

  • দক্ষিণ ভারতের উচ্চতম শৃঙ্গ: আনামুড়ি (২,৬৯৫ মি, কেরালা)

  • পশ্চিমঘাটের উচ্চতম শৃঙ্গ: আনামুড়ি

  • পূর্বঘাটের উচ্চতম শৃঙ্গ: আরমকোন্ডা (১,৬৮০ মি, অন্ধ্রপ্রদেশ)


৫. মালভূমি ও সমভূমি

  • বৃহত্তম মালভূমি: দাক্ষিণাত্য মালভূমি (Deccan Plateau)

  • প্রাচীনতম মালভূমি: চোটানাগপুর মালভূমি

  • বৃহত্তম সমভূমি: উত্তর ভারতের গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র সমভূমি


৬. দ্বীপপুঞ্জ (Islands)

  • বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ: আন্দামান ও নিকোবর

  • ক্ষুদ্রতম দ্বীপপুঞ্জ: লক্ষদ্বীপ

  • বৃহত্তম দ্বীপ (ভারতের): মধ্য আন্দামান

  • দক্ষিণতম বিন্দু: ইন্দিরা পয়েন্ট (নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ)


৭. উপকূল (Coastline)

  • মোট দৈর্ঘ্য: ৭,৫১৬.৬ কিমি

  • বৃহত্তম উপকূলীয় রাজ্য: গুজরাট (১,২১৪.৭ কিমি)

  • দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত: মেরিনা বিচ (চেন্নাই, তামিলনাড়ু)


৮. মরুভূমি (Desert)

  • বৃহত্তম মরুভূমি: থর মরুভূমি (রাজস্থান, গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত)


৯. বনভূমি ও উদ্যান

  • সর্বাধিক বনভূমি আয়তন: মধ্যপ্রদেশ

  • সর্বাধিক বন আচ্ছাদন শতাংশ: মিজোরাম

  • প্রথম জাতীয় উদ্যান: জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক (১৯৩৬, উত্তরাখণ্ড)

  • বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান: হেমিস (জম্মু ও কাশ্মীর)

  • ক্ষুদ্রতম জাতীয় উদ্যান: দক্ষিণ বোতানিক্যাল গার্ডেন (পুদুচেরি)


📝 সারসংক্ষেপ টেবিলে

বিভাগ বৃহত্তম ক্ষুদ্রতম/নিম্নতম বিশেষ তথ্য
রাজ্য (আয়তন) রাজস্থান গোয়া
রাজ্য (জনসংখ্যা) উত্তরপ্রদেশ সিকিম
জনঘনত্ব বিহার অরুণাচল প্রদেশ
নদী গঙ্গা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ডেল্টা বিশ্বের বৃহত্তম
হ্রদ ভেম্বানাদ চিলিকা – এশিয়ার বৃহত্তম লেগুন
পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা আনামুড়ি – দক্ষিণ ভারতের উচ্চতম
মালভূমি দাক্ষিণাত্য চোটানাগপুর – প্রাচীনতম
দ্বীপ আন্দামান লক্ষদ্বীপ ইন্দিরা পয়েন্ট – দক্ষিণতম বিন্দু
উপকূল গুজরাট মেরিনা বিচ দীর্ঘতম সৈকত
বনভূমি মধ্যপ্রদেশ মিজোরাম – সর্বাধিক আচ্ছাদন

<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>> 

👉For pdf whatsapp-8250978714


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.