[FOR WBCS,UPPER PRIMARY TET,PSC,SSC,RRB,GROUP-C,GROUP-D ETC]
📘 অধ্যায়:ভারত পরিচয়।
🔹 নামকরণ ও পরিচয়
-
প্রাচীনকালে ভারত নাম এসেছে রাজা ভরত-এর নাম থেকে। তাঁর নামানুসারেই দেশটির নাম হয় ভরত।
-
বিদেশিদের কাছে ভারত পরিচিত ছিল হিন্দুস্তান বা ইন্ডিয়া (India) নামে।
-
“India” শব্দটি এসেছে সিন্ধু নদী থেকে।
-
‘হিন্দু’ শব্দটির উৎপত্তি মূলত সিন্ধু শব্দ থেকেই।
-
গ্রিক ও রোমানরা সিন্ধুকে উচ্চারণ করত ইন্দুস (Indus)।
-
এর থেকেই ধীরে ধীরে ভারতকে ইন্ডিয়া বলা হতে থাকে।
🔹 ভারত সম্পর্কে মতামত
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতকে বলেছেন – “মহামানবের সাধনাভূমি”।
-
ভিনসেন্ট স্মিথ (Vincent Smith) ভারতকে বলেছেন – “জাতিগত জাদুঘর (Ethnological Museum)”।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষের সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী ও সংস্কৃতির মিলন ঘটেছে।
-
তাই তিনি বলেছেন ভারত হলো – “চেতনার মধ্যে এক”।
-
অনেক ঐতিহাসিক ভারতকে বলেছেন – “বিশ্বের সারাংশ (Epitome of the World)”।
🔹 প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
-
ভারতের অতীতের গৌরবময় দিকগুলোকে অধ্যাত্মবাদী ও দার্শনিক ধারা দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়।
-
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী বলেছেন ভারতের অতীত হলো – “আর্যদের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক দিশা”।
-
ঐতিহাসিক রত্নকোষ : কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নকশা একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ যেখানে সমাজজীবন ও ইতিহাসের দিক ফুটে উঠেছে।
-
প্রাচীন ভারতকে বলা হয়েছিল – বহুধর্মাবলম্বী সমাজ।
-
এখানে প্রচলিত ছিল বহুপ্রাণবাদ (Animism) ও বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস।
-
ভারতীয় সভ্যতা বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম।
🔹 অর্থনীতি ও বাণিজ্য
-
প্রাচীন ভারত ছিল ধনী এবং কৃষিনির্ভর দেশ।
-
তাম্রলিপ্ত বন্দর ছিল ভারতের এক বিখ্যাত সমুদ্রবন্দর।
-
এখানে থেকে বাণিজ্যিক জাহাজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মিশর ও রোম পর্যন্ত যাতায়াত করত।
-
ভারতীয়রা ধাতব মুদ্রা ব্যবহার করত।
-
লৌহ, তামা, সুতি কাপড়, মসলা ও মুক্তো ছিল প্রধান রপ্তানি দ্রব্য।
🔹 সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য
-
ভারতকে বলা হয় – “অধ্যাত্মবাদ ও আধ্যাত্মিকতার দেশ”।
-
এখানে সাহিত্য, শিল্পকলা, স্থাপত্য, ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞান বিকশিত হয়েছিল।
-
ভারতবর্ষকে তুলনা করা হয়েছে – “বৃহৎ সংস্কৃতির মোজাইক”-এর সঙ্গে।
-
বহু ভাষা, বহু জাতি ও বহু ধর্মের সমাহারে ভারত বিশ্বসভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র।
<<<<<<<<<<<<<<<<🌹সমাপ্ত🌹>>>>>>>>>>>

